ইসলামী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মুহাম্মদ মুনিরুল মওলাকে তিন মাস বাধ্যতামূলক ছুটিতে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আজ সোমবার (৭ এপ্রিল) থেকে এ ছুটি কার্যকর হবে।
এ ছাড়া, ব্যাংক কোম্পানি আইনের ৪৬- ধারা অনুযায়ী তাকে যেন অপসারণ করে, এজন্য বাংলাদেশ ব্যাংককে তার অনিয়মের তথ্য তুলে ধরে চিঠি দেবে ইসলামী ব্যাংক।
চট্টগ্রামের বহুল আলোচিত এস আলম গ্রুপ, নাবিল গ্রুপকে নিয়মবহির্ভূতভাবে সুবিধা দেওয়া ও বিভিন্ন ঋণসংক্রান্ত অনিয়মে সংশ্লিষ্টতা পাওয়ায় মুনিরুল মওলার বিরুদ্ধে এ ব্যবস্থা নিয়েছে ইসলামী ব্যাংক।
রোববার (৬ এপ্রিল) ব্যাংকের ৩৫৯তম পর্ষদ সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। একই সঙ্গে সভায় ব্যাংকটির অতিরিক্ত এমডি ওমর ফারুক খানকে ভারপ্রাপ্ত এমডির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। ইসলামী ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ সূত্রে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছে।
আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর সাবেক ব্যাংকার ওবায়েদ উল্লাহ আল মাসুদকে চেয়ারম্যান করে ইসলামী ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ পুনর্গঠন করে দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। ২০১৭ সাল থেকে ব্যাংকটি সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঘনিষ্ঠ এস আলমের মালিকানাধীন গ্রুপের নিয়ন্ত্রণে ছিল। নতুন পর্ষদ গঠনের পর অনিয়ম খুঁজতে চারটি নিরীক্ষা প্রতিষ্ঠান নিয়োগ করা হয়।
সূত্র জানায়, এসব নিরীক্ষায় এস আলম সংশ্লিষ্ট প্রায় এক লাখ কোটি টাকার ঋণে অনিয়মের তথ্য বেরিয়ে আসে। এতে এমডি মুহাম্মদ মুনিরুল মওলার সংশ্লিষ্টতা পাওয়া যায়। এর পরিপ্রেক্ষিতে পরিচালনা পর্ষদের সভায় এমডিকে তিন মাসের ছুটিতে পাঠানোর সিদ্ধান্ত হয়।
সম্প্রতি দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) ইসলামী ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান ও এস আলম গ্রুপের মালিক মোহাম্মদ সাইফুল আলমের ছেলে আহসানুল আলম ও এমডি মনিরুল মওলাসহ ৫৮ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে। তাদের বিরুদ্ধে ইসলামী ব্যাংক থেকে এক হাজার ৯২ কোটি টাকা ঋণ জালিয়াতির অভিযোগ আছে।
ইসলামী ব্যাংক তদারকিতে যুক্ত বাংলাদেশ ব্যাংকের একজন কর্মকর্তা বলেন, এস আলম পালিয়ে গেলেও এমডি বহাল তবিয়তে ছিলেন। এটি ব্যাংকটির কর্মকর্তারা কোনোভাবেই মানতে পারছিলেন না। এ জন্য পর্ষদ বাধ্য হয়ে এমডিকে ছুটিতে পাঠিয়েছে।
মন্তব্য করুন