খুলনা-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) মিজানুর রহমানকে ৮ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুদকের দায়ের করা মামলায় দোষী সাব্যস্ত করে তাকে এই কারাদণ্ডাদেশ দেয়া হয়।
৩০ জানুয়ারি ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৩ এর বিচারক মুহাম্মদ আবু তাহের এ রায় দেন।
এছাড়া জ্ঞাত-আয়ের উৎস বহির্ভূত ১ কোটি ৪৪ লাখ লাখ ৫০ হাজার ৯৮৯ টাকা রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্তের আদেশ দিয়েছে আদালত।
রায় ঘোষণার আগে মিজানুর রহমানকে কারাগার থেকে আদালতে নেওয়া হয়। পরে রায় ঘোষণা শেষে আবারও সাজা পরোয়ানা দিয়ে তাকে কারাগারে পাঠান হয়।
রায়ে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ২৬(২) ধারায় তিন বছর সশ্রম কারাদণ্ড ও ২০ হাজার টাকা অর্থদণ্ডের আদেশ দেন আদালত। অনাদায়ে তাকে আরো তিন মাস কারাভোগ করতে হবে। একই আইনের ২৭(১) ধারায় তাকে পাঁচ বছর সশ্রম কারাদণ্ড ও ৩০ হাজার টাকা অর্থদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। অর্থদণ্ড অনাদায়ে তাকে আরো তিন মাসের কারাভোগ করতে হবে। দুই ধারার দণ্ড একত্রে চলবে বলে রায়ে উল্লেখ করা হয়েছে।
এর আগে, গত ২৩ জানুয়ারি দুদক ও আসামিপক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে রায়ের জন্য আজকের দিন ধার্য করেছিলেন একই আদালত। সেদিন জামিন বাতিল করে মিজানুর রহমানকে কারাগারে পাঠানোরও আদেশ দেন আদালত।
২০১৯ সালের ৬ আগস্ট জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে সাবেক এই এমপির বিরুদ্ধে দুদকের সমন্বিত ঢাকা জেলা কার্যালয়-১ এ মামলাটি করেন সংস্থাটির পরিচালক মো. মঞ্জুর মোর্শেদ। পরবর্তীতে মামলার তদন্ত শেষে ২০২১ সালের ২৩ আগস্ট আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন তিনি। সেখানে মিজানুর রহমানের বিরুদ্ধে ১ কোটি ৫৮ লাখ ৫৭ হাজার ৯৮১ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন ছাড়াও ২০ লাখ টাকার সম্পদের তথ্য গোপন করার অভিযোগ আনা হয়।
মন্তব্য করুন