বিগত সরকারের সময় একতরফাভাবে চীনের একটি দলের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, ‘তবে সরকারের পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে চীন তাদের কৌশল বদলেছে এবং সব রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনা করছে।’
চীন সফর অন্তর্বর্তী সরকারের ইতিবাচক ও বড় একটি সাফল্য উল্লেখ করে ফখরুল বলেন, ‘চীন অত্যন্ত সমৃদ্ধশালী একটি দেশ এবং অর্থনীতির দিক থেকে বিশ্বে দ্বিতীয়। বাংলাদেশের সঙ্গে চীনের বিনিয়োগও অনেক বেশি। চীন প্রতিশ্রুতি দিয়েছে, ভবিষ্যতে বাংলাদেশের উন্নয়নে প্রয়োজনীয় বিনিয়োগ করবে। এটি নিঃসন্দেহে আমাদের জন্য আশাব্যঞ্জক।’
প্রশ্নের জবাবে বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘অন্তর্বর্তী সরকার জনগণের সমর্থন নিয়ে ক্ষমতায় এসেছে এবং ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মাধ্যমেই এই সরকার গঠিত হয়েছে। তারা রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থায় পরিবর্তন আনতে সংস্কার কর্মসূচি সামনে এনেছে এবং সংস্কার কমিশন গঠন করেছে। আমরা কমিশনের প্রস্তাবগুলো পর্যালোচনা করেছি ও আমাদের মতামত দিয়েছি। ভবিষ্যতে তারা আমাদের সঙ্গে এবং অন্যান্য রাজনৈতিক দলের সঙ্গে বসবে।’
ফখরুল ইসলাম বলেন, ‘সংস্কার প্রস্তাব যথাযথভাবে পর্যালোচনা করেই মতামত দিয়েছে বিএনপি। সংস্কার আর নির্বাচন আলাদা জিনিস। সংস্কার সংস্কারের মতো চলবে, নির্বাচন নির্বাচনের মতো চলবে।’
মন্তব্য করুন