প্রিয়জনের সঙ্গে ঈদুল ফিতর উদযাপনের পর ঢাকায় ফিরতে শুরু করেছেন গ্রামে যাওয়া মানুষ। ঈদের তৃতীয় দিন থেকেই দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে সীমিত পরিসরে রাজধানীতে ফেরার প্রবণতা দেখা যাচ্ছে।
বুধবার (২ এপ্রিল) সকাল থেকেই রাজধানীর কিভিন্ন বাসটার্মিনাল এবং কমলাপুর রেলস্টেশন ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।
সাইফুল ইসলাম মানিকগঞ্জের হরিরামপুর উপজেলার পিপুলিয়া গ্রামের বাসিন্দা। পেশায় কাঠ ব্যবসায়ী। থাকেন পুরোনো ঢাকার নয়াবাজারে। গত ৩০ মার্চ ঈদের ছুটিতে গ্রামের বাড়ি যান। গাবতলী থেকে হরিরামপুরে শুকতারা সার্ভিসে (গেটলক গাড়ী) যেতে হয়। প্রতিনিয়ত ভাড়া নেয়া হয় ১০০ টাকা। আর ঈদের নামে অতিরিক্ত ভাড়া দিয়েছেন ডাবলেরও অধিক। ঈদের দুই দিন পরে অর্থাৎ আজ বুধবার (২ এপ্রিল) অতিরিক্ত ভাড়া দিয়ে ঢাকা ফেরত আসতে হয়। রাজধানীতে ফেরত আসার সময় তার কাছ থেকে ভাড়া নেয় ২২০ টাকা। অর্থাৎ প্রকৃত ভাড়ার চেয়ে ডাবলেরও অধিক।
পুরো আন্ত:জেলা বাস সার্ভিসগুলোতেও একই চিত্রের খবর পাওয়া গেছে। বিশেষ করে ঢাকা-পাটুরিয়া, ঢাকা-গাজীপুর, ঢাকা- টাংগাইল, ঢাকা-মুন্সিগঞ্জ, ঢাকা-নরসিংদিসহ বিভিন্ন আন্ত:জেলাগুলোতে চলাচলরত গণপরিবহনে ঈদে ঘরমুখি হতে এবং ঢাকায় ফেরত আসতে অতিরিক্ত ভাড়া দিয়েই আসতে হচ্ছে যাত্রীদের।
সরেজমিনে রাজধানীর বিভিন্ন বাস, ট্রেন ও লঞ্চ টার্মিনাল ঘুরে দেখা গেছে, ঈদ আনন্দ ভাগাভাগি করতে গ্রামে গিয়েছিলেন হাজারও কর্মজীবী মানুষ। ছুটি শেষে আবারও তারা কর্মস্থল ঢাকায় ফিরতে শুরু করেছেন। এ কারণে দেশের সড়ক-মহাসড়ক, নৌ-বন্দরসহ অন্যান্য টার্মিনালে রাজধানীমুখী মানুষের চাপ দেখা গেছে।
রাজধানীর সায়েদাবাদ বাস টার্মিনাল এলাকার নাইমুল খান নামের কুমিল্লার এক যাত্রী বলেন, ঢাকা-কুমিল্লার ভাড়া ছিল ২২০-২৫০ টাকা। কিন্তু এখন ভাড়া নেয়া হচ্ছে ৩০০-৩৫০ টাকা। সিটিং বাসে দাঁড়িয়ে যাত্রী নেয়ার কথা না। তার পরেও অতিরিক্ত যাত্রী দাঁড়িয়ে নেয়া হচ্ছে। ঈদের কথা বলে ভাড়া বেশি নেয়া হচ্ছে। এক্ষেত্রে প্রতিবাদ করলে বলে গাড়ি কম। তাই এখন এভাবে যেতে হবে।
ভোলা থেকে ঢাকায় আসা আকলিমা নামের এক যাত্রী বলেন, আজ বুধবার সাড়ে ১২টার দিকে লঞ্চ ছাড়ার পর মনপুরা ও ভোলার কয়েকটি ঘাট থেকে যাত্রী নেয়ার পরপরই পুরো লঞ্চ ভর্তি হয়ে যায়। বুধবারে তুলনায় আামীকাল বৃহস্পতিবার, শুক্রবার ও শনিবার মানুষের ভিড় আরও বাড়বে বলে তিনি জানান।
মন্তব্য করুন